আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দুই অংশীদার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) আগামী ৮ আগস্ট দেশটির জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হতে পারে বলে মঙ্গলবার একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এখনও সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীন জোটের অংশ পিডিএম এবং অন্যান্য সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে (সংসদের বিলুপ্তির) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংসদের উচ্চকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার তারিখের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
দেশটির বর্তমান জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরের সাংবিধানিক মেয়াদ আগামী ১২ আগস্ট মধ্যরাতে শেষ হবে। অর্থাৎ দেশটির সংসদ যে তারিখে ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে উভয় রাজনৈতিক দল সম্মত হয়েছে তার চারদিন পর সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্ট সরকারে থাকা দলগুলোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন না দিলেও ৪৮ ঘণ্টা পর সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। দেশটির সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি ভেঙে দেওয়া না হয়, তাহলে জাতীয় পরিষদ বা প্রাদেশিক পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে সংবিধানের ২২৪(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদের সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যদি তা ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বাধ্য।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আগামী আগস্ট মাসে আমাদের সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। আমরা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নেব এবং একটি অন্তর্র্বতী সরকার চলে আসবে।
এর আগে, সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশটির সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের জোটসঙ্গী পিপিপি।