র্পূবাচল রিপোর্ট :সম্প্রতি ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। আর সেটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে ভারত। তাদের গণমাধ্যম প্রধানমন্ত্রীর উক্তিকে চপেটাঘাত হিসেবে দেখছে।
ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বানকারীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতীয় পণ্য বয়কট করলে বিরোধীদলীয় নেতাদের ঘোষণা করতে হবে যে তাদের স্ত্রীদের কাছে কয়টি ভারতীয় শাড়ি রয়েছে এবং কেন তারা সেসব শাড়িতে আগুন দিচ্ছেন না।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের (বিএনপি নেতাদের) স্ত্রীর কাছে কয়টি ভারতীয় শাড়ি রয়েছে? আর কেন তারা তাদের স্ত্রীদের কাছ থেকে শাড়ি কেড়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে না? দয়া করে বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করুন।
ভারতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার ভারতীয় শাল রাস্তায় ফেলে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন মন্ত্রী ও তাদের স্ত্রী ভারত ভ্রমণের সময় শাড়ি কিনে বাংলাদেশে বিক্রি করতেন।
এরপর শেখ হাসিনা ভারতের মসলা ও বাংলাদেশের রান্নাঘরে তাদের ভূমিকার কোথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘গরম মশলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা- সব মসলা যা (ভারত থেকে) আসে তা তাদের (বিএনপি নেতাদের বাড়িতে) দেখা উচিত নয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইনের প্রেক্ষাপটে এসব ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর কিছু প্রভাবশালী কর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকদের একাংশের সমর্থনপুষ্ট এই প্রচারণা জোরদার হয়েছে।
অন্যদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানোর সমালোচনা করেছেন। নয়াদিল্লির সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য পরিচিত শেখ হাসিনা এক বক্তৃতায় ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি নেতাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রতিবেদনের হেডলাইনে গনমাধ্যমটি বলছে – নয়াদিল্লীর পাশে শেখ হাসিনা।
তবে এই বর্জনের ডাকের সমর্থনে বাংলাদেশের কিছু উদ্যোক্তা “দেশী পণ্য কিনুন” আহ্বান জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ডাক দেওয়া হয়। যদিও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাঁড়িয়ে দেশি বিদেশী পণ্য পৃথক করার সুযোগ নেই। মানুষ তার সামর্থ অনুযায়ী ভোগ করবে।
- ঢাকা মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ চৈত্র ১৪৩০