দৈনিক পূর্বাচল রিপোর্ট : বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ করে নগরপিতা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।
সোমবার দিনভর ভোটের পর সন্ধ্যায় গণনা শেষে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। মোট ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে খোকন সেরনিয়াবাত পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের মতে, দেশের দুই সিটি খুলনা ও বরিশাল সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সন্তুষ্ট। সার্বিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর কিলঘুষির শিকার হয়েছেন। এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে বর্ণনা করেছেন সিইসি।
ভোটের ফল ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম। একইসঙ্গে রাজশাহী ও সিলেটে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য খোকন সেরনিয়াবাত প্রথমবারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই। এর আগে বরিশালের মেয়র ছিলেন সাদিক আবদুল্লাহ। সাদিক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আরেক ফুফাতো ভাই আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছেলে।
আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ আর খোকন সেরনিয়াবাত আপন ভাই। তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছেলে।
অন্যদিকে বরিশালে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বরিশালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট হয়। এই নির্বাচনে সাত জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মুফতি ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি), মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ) এবং মো. আসাদুজ্জামান (হাতি)।
সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। নির্বাচনে দুই নারী সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোজিনা শেখ আয়শা ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদা বেগম। মোট ছয় জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ মুহূর্তে চার জন তা প্রত্যাহার করেন।